জেনে নিন পাথরকুচি পাতার ১৪ উপকারিতা

পাথরকুচি পাতার ১৪ উপকারিতাঃ
ত্বকের যত্নে: পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সাথে সাথেই এর মধ্যে জ্বালা-পোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্বন্ধে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুস্কুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
সর্দি সারাতে- অনেক দিন ধরে যারা সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পাথরকুচি পাতা অমৃতস্বরূপ। পাথরকুচি পাতার রস একটু গরম করে খেলে সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঔষধি গুণ – মেহ, সর্দি, মূত্র রোধে, রক্তপিত্তে, পেটফাঁপায়, শিশুদের পেটব্যথায়, মৃগীরোগে পাথরকুচির ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। চলুন আরো কিছু গুনাগুন জেনে নেই পাথরকুচি পাতার।
কলেরা,ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ – কলেরা, ডাইরিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সাথে ৩ গ্রাম জিরা এবং ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
ক্ষত স্থান সারাতে – পাথরকুচি পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়। পাথরকুচি পাতা বেটেও কাটাস্থানে লাগাতে পারেন।
পেট ফাঁপা – অনেক সময় দেখা যায় পেটটা ফুলে গেছে, প্রসাব আটকে আছে, আধোবায়ু, সরছে না, সেই ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা-চামচ পাথর কুচির পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মূত্র তরল হবে, আধো বায়ুরও নিঃসরণ হবে, ফাঁপাটাও কমে যাবে।
জন্ডিস নিরাময়ে- লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে সমাধান পেতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও পাতার জুস অনেক উপকারী।
মেহ – সর্দিজনিত কারণে শরীরের নানা স্থানে ফোঁড়া হলে ব্যথা হয়। যাকে মেহ বলা হয়। এক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক চামচ করে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
পোকা কামড় – বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
মৃগী রোগ – রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের ঊপশম হবে।
কিডনির পাথর অপসারণে- পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুই বার ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ – আমরা তো জানি পাথরকুচি পাতার গুনাগুন। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মুত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা তুলনা হয় না। চির তরে মুক্তি দিতে পারে এই পাতা মুত্রথলির সমস্যা থেকে।
বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে – বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
পাইলস ও অর্শ রোগ – পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইল ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো কিছু হেল্প টিপস জানতে ভিজিট করুন আমাদের সাইটে।
আর নতুন নতুন সকল খবর পেতে সাথেই থাকুন।
হার্টের ব্যাপারে মজার ও আশ্চর্যজনক তথ্যগুলো দেয়া হলঃ
১. আপনি যত বেশি পড়াশোনা করবেন, আপনার হার্টের সমস্যা হবার ঝুঁকি ততই হ্রাস পাবে।২. একটি স্বাভাবিক হার্টের আকার একটি হাফ ডলার এর সমান।
৩. প্রথম যখন হার্টে পেসমেকার বসানো হয়েছিল তার আকার, আকৃতি ছিল ওয়াল সকেট এর মত।
৪. হাসিখুশি ও শক্তিশালী অনুভূতির কারনে হার্টের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়। যারা বেশীরভাগ সময় হাস্যজ্জ্বল থাকে, তারা হার্টের ঝুঁকি হতে মুক্ত থাকে।
৫. বছরে সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয় বড়দিনে অর্থাৎ, ২৫ ডিসেম্বর। এরপর ২৬ ডিসেম্বর ও ইংরেজি নববর্ষে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বেশি।
৬. প্রথম হার্টের টিস্যু ৪ সপ্তাহের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব বীট করা শুরু করে।
৭. গবেষণায় সর্বপ্রথম ভেজিটেরিয়ান ডায়েট এর সুফল ও উপকারিতা পাওয়া যায় “বাইবেলস বুক অফ ড্যানিয়েল” বইয়ে।
৮. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হার্টের অধিকারী প্রানিদের মধ্যে নীল তিমি প্রথম। নীল তিমির হার্টের ওজন ১,৫০০ পাউন্ড।
৯. স্টেথোস্কোপ আবিষ্কার হবার পূর্বে ডাক্তারেরা রোগীর হার্ট বরাবর কান রেখে হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণয় করত।
১০. হার্টের রোগ ৩০০০ বছর পূর্বের মমীর মাঝে পাওয়া গেছে।
১১. আপনার দুই হাত একে-অপরকে আলিঙ্গন করার পর হাতের মাঝে যে ফাঁকা অংশ থাকে, আপনার হার্টের পরিমাণ ততটুকু।
১২. একদিনে হার্ট ১,০০,০০০ বার বীট করে।
১৩. প্রতিদিনের ব্যায়াম হার্টকে সবসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
১৪. হার্টের সমস্যা শরীরের সবচেয়ে বড় রোগ। মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ও পুরুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার এর তুলনায় হার্টের রোগ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
১৫. হার্ট বীটের সাউন্ড আমাদের হাতের ভালভ লিফলেট খোলা ও বন্ধের সময় যে শব্দ হয়, তার সমান।
১৬. প্রতি মিনিটে আপনার হার্ট ১.৫ গ্যালন পরিমাণ রক্ত পাম্প করে।
১৭. আমাদের হার্ট একটি সমন্বয়কারী মেশিন। যার ডানদিক ফুসফুস থেকে রক্ত নেয় এবং বামদিক হতে দিয়ে শরীরে রক্ত সরবরাহ করে।
১৮. গত কয়েক বছরের মধ্যে সেলিব্রেটিদের মধ্যে ডেভিড লেটারম্যান, বিল ক্লিনটন, রবিন উইলিয়ামস, বারবারা ওয়ালটার, আর্নল্ড অয়ারজেনেজার এবং রেগিস ফিলবিন এর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে।
১৯. আপনি আপনার হার্টকে ডায়েট, ব্যায়াম এবং স্ট্রেস ম্যানেজ করার মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে পারেন।
২০. হার্টের ক্যান্সার হওয়া বিরল। কারন, হার্টের টিস্যু অনেক কম বয়স থেকেই বিভাজিত হওয়া বন্ধ করে দেয়।
হার্ট আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই সবসময় হার্টকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
0 Comments