ঘরে বসেই জ্বর ঠান্ডা কাশির চিকিৎসা করে নিন
বর্তমানে যে সময়টা আসছে সেটা হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। এ সময় গরম থেকে শীতকাল আসে।
যার ফলে আবহাওয়া তাপমাত্রা ব্যাপক একটা পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে বাইরে তাপমাত্রা তারতম্য হওয়ার ফলে শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ বোধ হয়। যেমন ঠান্ডা জ্বর কাশি। তাই এ সময় বিশেষ করে বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের খেয়াল রাখা দরকার। কারণ এ সময় তারা বেশি অসুস্থ হয়।
এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া হলো-
1. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে , যতটা সম্ভব হালকা বা কুসুম কুসুম গরম পানি পান করার চেষ্টা করতে হবে।
2. সকল ঠান্ডা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ফ্রিজের খাবার সম্পূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে।
3. প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
4. গ্রিন টি পান করুন অথবা আদা মিশ্রিত চা পান করুন। এতে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
5. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। দামি খাবার গুলোতে শুধু ভিটামিন ও পুষ্টিকর বিদ্যমান তা ভুল ধারণা।
6. বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ ওষুধ খেতে হবে। জ্বর হলে প্যারাসিটামল 500 মিলিগ্রাম একটা তিন বেলা একটি করে খেতে হবে।
সর্দি থাকলে এন্টিহিস্টামিন সকাল ও রাতে খেতে হবে। এটি হবে 10 এমজি।
আর গ্যাস্ট্রিকের জন্য ওমিপ্রাজল দুই বেলা খেতে হবে। সকালে এবং রাতে।
পাতলা পায়খানা বা পেটে সমস্যা দেখা দিলে ট্যাবলেট মেট্রো সকাল দুপুর এবং রাতের তিন বেলায় খেতে হবে।
যদি শুকনা কাশি থাকে তাহলে Expoten দুই চামচ করে তিনবার খেতে হবে।
কফ কাশি হলে সিরাপ Miokolit দুই চামচ করে তিনবার খেতে হবে।
7. ঠান্ডা জ্বর হলে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া যাবে না। আর এটা ভাবা যাবে না যে ঠান্ডা জ্বর হলে করোনা আক্রান্ত হয়ে গেছেন।
8. সব সময় হাত পা পরিষ্কার রাখতে হবে। অযথা নাক মুখে হাত দিবেন না।
9. কখনো অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনশন করবেন না। অতিরিক্ত চিন্তা বা মানসিক টেনশন এক ধরনের রোগ। টেনশন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। বরং আপনি আরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বেন।
10. কোন রকম ধূমপান করা যাবে না। বাজে স্বভাব গুলো পরিহার করতে হবে। যার যার ধর্ম এর নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
11. বারবার ব্রিডিং করতে হবে। যার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস হয়। আর ফুসফুস ভালো থাকে ।
12. যতটা সম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলতে। পারলে গণপরিবহন থেকে বিরত থাকুন।
13. যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেওয়া সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
14. জরুরী প্রয়োজনে সরকারি হেল্প লাইনে কল করো। হটলাইন হচ্ছে 333.
আর সবাই একে অপরের পাশে থাকতে হবে সব সময়। কেননা যখন একজন ব্যক্তি অসুস্থ থাকে তখন সে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাই তার পাশে থাকলে সে মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
0 Comments