আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।
আজকে আমি নামাজের উপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি।তো চলুন শুরু করা যাক।\
- সঠিক নিয়মে রুকুতে গিয়ে নামাজ পড়লে কোমর ও শিরদাড়ার ব্যথা দূর হয়ে যায়।
- কেবলমাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়মিত যত্ন নেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
- নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
- নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলাঙ্গতা লোপ পায়।
- আমরা যখন নামাজে দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
- নামাজের মাধ্যমের আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম সাধিত হয়।এতে আমাদের বাড়তি করে জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার প্রয়োজন হয় না।
- নামাজের জন্য ওজু করতে হয় যা আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয়, ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি।
- ওজুর সময় মুখমণ্ডল তিন বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় ।
- ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
- কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে। ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে বিরত থাকা যায়।
- নামাজ আদায়ের ফলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
নামাজ অত্যন্ত উত্তম ব্যায়াম। মানুষ যখন মন দিয়ে নামাজ পড়ে তখন তা মেডিটেশনের (ধ্যান) কাজ দেয়, যা মনকে স্থির করে। চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে।
এছাড়া নামাজে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো নড়াচড়ার মাধ্যমে অত্যন্ত উত্তম ব্যায়ামের কাজ করে। বিজ্ঞান ও এ সকল বিষয় সমর্থন করে।
আল্লাহ্তায়ালা আমাদের সবাইকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার তৌফিক দান করুন।
আমিন!!!!
Post a Comment