আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।
How To Make Money at online Easy Way To Earn From Home জেনে নিন অনলাইনে ইনকাম করার উপায় !
আপনি নিশ্চই ২০২১ সালে অনলাইনে অর্থোপার্জনের উপায় খুঁজছেন। আপনি যদি সন্ধান করেন তবে এই পোস্টটি আপনার পক্ষে সহায়ক হবে। কারণ আজকের পোস্টের প্রথম অংশটি অনলাইনে ইনকাম করবেন কীভাবে আলোচনা করা হবে। তারপরে পোস্টের শেষে অনলাইনে আয়ের সহজ উপায়গুলি শেয়ার করা হবে যা থেকে আপনি বাড়ি থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক লোক অনলাইনে অর্থ উপার্জন করছে। নতুনরা অনলাইনে আয় করার চেষ্টা করতে অনুপ্রাণিত হন। আবার কিছু লোক অনলাইন আয়ের বাংলাদেশী সাইট থেকে সহজেই পেমেন্ট পেতে চান। অনলাইনে কীভাবে অর্থোপার্জন করা যায় সে সম্পর্কে আজ আমরা আরও শিখব।
আপনার মূল্যবাণ সময় ব্যয় করে যদি আপনি অনলাইন থেকে কিছু ইনকাম করতে পারেন এবং ধার কর্য না করে চলতে পারেন তাহলে খারাপ কি?
আপনি নিজের সামান্য ইচ্ছা শক্তি দিয়ে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এর জন্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে আধুনিক প্রজন্মের শিক্ষার্থী, গৃহিনী এবং কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত চাহিদা মেটাতে পারে।
অনলাইনে আয় করার জন্য যা যা লাগবে
2021-এ অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার কেবল প্রতিভা, শ্রম এবং সময় প্রয়োজন কেবল যদি আপনি এই তিনটি জিনিস সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনি কেবলমাত্র একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগের সাহায্যে বাড়ি থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি বিশ্বাস করতে নাও পারেন! সমস্যা নেই। আমি উদাহরণের মাধ্যমে দেখাব কীভাবে বাড়ি থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়।
আপনি শিক্ষার্থী, গৃহিণী বা কর্মচারী, আপনার পড়াশোনা বা কাজ বা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ের ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করে আপনি এক মাসে অনলাইনে যথেষ্ট পরিমাণে স্মার্ট অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার কাজ বা পড়ায় কোনোভাবেই সমস্যা হবে না। আপনার মূল পেশা কে ঠিক রেখে কিছুটা সময় ব্যয় করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
কেন অনলাইনে ইনকামের চেষ্টা করা উচিত
এক মুহূর্তের জন্য কল্পনা করুন আপনি আর্লের কার্মিক চালিত বিশ্বে স্থানান্তরিত হয়েছেন। কখনও কখনও আমি নিজের জন্য খুব আফসোস অনুভব করি কারণ এই সাইটগুলিতে আমি বছরের পর বছর ধরে অনেক সময় নষ্ট করেছি। আমি নিজেই প্রায় দুই বছর ফেসবুক, টুইটার এবং বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে কাটিয়েছি। এখন আমি ভাবছি কেন আমি সেই সমস্ত সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে সময় ব্যয় না করে ব্লগিংয়ের সময়টি ব্যয় করি নি।
আপনার মতো আমার অনেক বন্ধু আছে যারা প্রতিদিন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলিতে একইভাবে চ্যাট করে ঘন্টা এবং ঘন্টা ব্যয় করে। আপনি যদি প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে কত সময় ব্যয় করেন তা গণনা করেন, বেশিরভাগ লোক 2-3 ঘন্টা বলবেন।
সুতরাং আপনি কত বছর মনে করেন যে এই সংখ্যাটি দাঁড়াতে চলেছে? তিনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে চ্যাট করতে বছরে কমপক্ষে 1000-1200 ঘন্টা ব্যয় করেন। তবে আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আপনি কী অর্জন করেছেন? আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারেন যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল শূন্য এবং শূন্য রয়েছে।
ছাত্রদের অনলাইন ইনকামে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা
গৃহিণীর অনলাইন ইনকামের প্রয়োজনীয়তা
অনলাইন ইনকামের অন্যান্য সেক্টর
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
অনলাইন থেকে ইনকামের সাইট
1.ইউটিউব থেকে আয়
2.ব্লগিং করে বা আর্টিকেল লিখে আয়
3.একজন লেখক হয়ে
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে অনলাইন আয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ বাড়ি থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করছে। তদুপরি, বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়োগের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করেছে। তাদের অনেকে সরকারী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে কয়েক মিলিয়ন টাকা উপার্জন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
4.Adsense থেকে আয়
5.প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে আয়
6.অনলাইনে প্রোডাক্টস বিক্রি করে আয়
7.Graphics Design
8.সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
9.ডাটা এন্ট্রি
10.পিটিসি হতে আয়
11.এফিলিয়েন্ট মার্কেটিং
12.ই-কমার্স সাইট
13.ফটো বিক্রি করে ইনকাম
14.জরিপ বা সার্ভে থেকে টাকা ইনকাম
15.বিজ্ঞাপণ দেখে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম ২০২১ঃ- শুরুতেই বলে নিচ্ছি আজকের আর্টিকেলটা কিন্তু অনেক বড় হবে । কাজেই খুব সময় নিয়ে ধৈর্য্যসহকারে পড়তে হবে। আর আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার এখন কি করা উচিত, কিভাবে সামনে আগানো উচিত।
অনলাইনে ইনকাম এই লেখাটি কাদের জন্য?
১। যারা পড়ালেখা বা চাকরির পাশাপাশি অনলাইন থেকে সত্যিই ইনকাম করতে চান তাদের জন্য।
২। যারা অনেক ধৈর্য্যশীল ও কাজের প্রতি আগ্রহি আছে।
৩। যারা কঠর পরিশ্রমী ও ইন্টারনেটে অনেক সময় বেয় করার মন মানোসিকতা।
অনলাইনে ইনকাম এই লেখাটি কাদের জন্য নয়?
- যারা মনে করে দু’চার দিন অনলাইনে একটু সময় দিয়েই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়
- যারা পরিশ্রম না করে শুধু ডলার ইনকামের ধান্দা করেন।
- যারা কোন কাজে অধৈর্য্য হয়ে যায়
- যারা আগে থেকেই সফলতার সাথে ফ্রিলান্সিং করতেছেন। ( কারন এই লেখাটি একদম বিগিনারদের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে )
যাহোক ভুমিকাতে আর সময় নষ্ট করবো না এখন চলুন আমরা আমাদের মুল পয়েন্টে চলে যাই ।
অনলাইন ইনকামের কিছু হেড লাইন লিস্ট দেখে নেই চলুনঃ-
অনলাইনে ইনকাম ২০২১: ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়!
অনলাইনে ইনকাম ২০২১ – Online income 2021
এখন দুই হাজার একুশ । পৃথীবি এখন প্রযুক্তির উচ্চ শিখরে অবস্থান করছে । পুরো বিশ্ব চলছে এখন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে । দৈনন্দিন জীবনের একটি ছোট্ট কাজ থেকে শুরু করে বৃহত্তম সকল কাজই চলছে এখন অনলাইনের মাধ্যমে । কেনা কাটা , পড়ালেখা ,অফিস , মিটিং ,ব্যাবসা বানিজ্য সবকিছুই হয়েছে এখন অনলাইন নির্ভর । এরমধ্যে আপনি হয়তো শুনেছেন আপনার আশেপাশে অনকেই অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় করতেছে। আপনি হয়তো নাম শুনেছেন ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং এর ।
আপনি নিশ্চয়ই অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আগ্রহী। সবাই চাই ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে। অনেকে সঠিক গাইডলাইন এর কারনে পারে না আবার কারও ধৈর্য থাকে না। অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং প্রচুর ধৈর্য্য। তাহলে অনলাইন থেকে ভালো একটা টাকা ইনকাম আসবে।
ফ্রিলান্সিং কি ?
এক কথায় উত্তর দিতে গেলে ফ্রিলান্সিং মানে মুক্ত পেশা । প্রচলিত চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামাফিক কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যদিও আমাদের দেশে এখনও ফ্রিলান্সিং বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ প্রফেশনাল ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল মার্কেট। ইন্টারনেটের কল্যানে এখন আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
ফ্রিলান্সিং কি হালাল পেশা ?
মুসলমান হিসেবে এই প্রশ্নটা অনেকেই আমাকে করে থাকেন । আসলে যাদের ফ্রিলান্সিং সমন্ধে ধারনা নেই তারা এরকম প্রশ্ন করবে এটাই স্বাভাবিক । এই প্রশ্নের উত্তর পেতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন অনলাইনে ইনকাম হালাল নাকি হারাম?
কিভাবে আপনি ঘরে বসে আয় করবেনঃ
অনলাইনে ইনকাম ২০২১ । ২০২১ সালে আপনি কিভাবে ঘরে বসে আয় করবেন ? এই প্রশ্নটির উত্তর দেবার আগে আমি আপনাকে আর একটি প্রশ্নের সম্মুখিন করি তাহলো, আপনি কি কি কাজ পারেন ? । আসলে ভাই টাকা ইনকাম করতে সবাই চায় কিন্তু সবাই কি টাকা আয় করতে পারে ?
পড়ালেখা তো অনেক ছাত্রই করে সবাই কি পাশ করে ? অনেকেই তো চাকরির জন্য চেষ্টা তদবির করে । কিন্তু সবাই কি চাকুরি পায় ? কেন পায় না ? চাকুরি না পাওয়ার প্রধান কারন দুইটি বলে আমি মনে করি। তার এক নাম্বার কারন হলো, প্রয়োজনীয় দক্ষতা / অভিজ্ঞতার অভাব । দেখা যাচ্ছে চাকুরি দাতা যে কাজের জন্য লোক খুজঁছেন , সে কাজে অভিজ্ঞ লোক পাচ্ছেনা । দুই নাম্বার কারন হলো চাকুরির জন্য সঠিকভাবে ধৈর্য্যসহকারে চেষ্টা না করা ।
তো যাইহোক অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হলে , আপনাকে যেকোন কাজে নূন্যতম হলেও দক্ষতা থাকতে হবে। যদি দক্ষতা না থাকে তবে আপনি আগে যেকোন একটি কাজ আগে শিখে নিন তারপর মাঠে নামুন । অনলাইনে ইনকাম ২০২১
অনলাইনে ইনকাম করার জন্য প্রথম কোন কাজটি শিখবো?
অনলাইনে ইনকাম ২০২১ , অনেকেই প্রশ্ন করে ভাই আমি তো ফ্রিলান্সিং এ একদমই নতুন । আমি প্রথমে কোন কাজটি শিখে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবো ? অনেকেই বলে ভাই আমার আর্থিক অবস্থা ভালোনা পারিবারিক সমস্যা ! আমি ছাত্র, আমি পড়ালেখার পাশাপাশি অল্প হলেও অনলাইনে আয় করতে চাই । আমাকে একটু পরার্মশ দেন।
আমি সে ভাইদের উদ্দেশ্য করে একটি কথায় বলি , আপনি প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন । বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা আকাশচুম্বী । বিভিন্ন কম্পানিগুলোতে একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর কাজের ক্ষেত্র যেরকমভাবে তৈরি হচ্ছে ঠিক সেভাবে অনলাইন মার্কেটিপ্লেসগুলোতেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোট ছোট কাজের জন্য ক্লায়েন্টরা প্রতিদন জব পোষ্ট করে যাচ্ছে।
এই দুটি ক্ষেত্র ছাড়াও নিজের বিজনেসের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি শেখার প্রয়োজনীয়তা অনেক। অল্প বাজেটে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহায়তায় কাস্টমার এনগেইজমেন্ট থেকে শুরু করে পন্য বিক্রয় কার্যক্রম খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।
এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিজিটাল মার্কটিং টা আবার কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে বোঝায়। ইন্টারনেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
ডিজিটাল মার্কেটিং এরও আবার অনেকগুলা ভাগ আছে যেমন
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM )
- ইমেইল মার্কেটিং
- কনটেন্ট রাইটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- টুইটার মার্কেটিং
- সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভাইরাল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- গুগল ডিসপ্ল্যে নেটওয়ার্ক
- মোবাইল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়াও ঘরে বসে আরো যেসব উপায়ে ইনকাম করা যায় তা এখন ধাপে ধাপে আলোচনা করবো ।
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম ২০২১-
এই মুহূর্তে আপনার হাতে একটি এনড্রোয়েড মোবাইল আছে তাই না ? শুধু আপনি কেন এখন ২০২১ সালে প্রায় সকলের হাতে হাতেই স্মার্ট ফোন আছে। কিন্তু আপনি কি একবার ভেবে দিখেছেন আপনার এই এনড্রোয়েড মোবাইল ব্যাবহার করে ঘরে বসে মোবইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন ! আপনার শখের মোবাইল দিয়ে আপনি আপনার বেকারত্ব দুর করতে পারেন।
আপনি ছাত্র? আপনার হাত খরচ প্রয়োজন ? কোন সমস্যা নেই আপনার একটি মোবাইল-ই আপনাকে অর্থিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে !
এখন আপনার মনে নিশচয় প্রশ্ন জেগেছে আমার তো মোবাইল আছে আমি কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবো ?
আমি কি প্রতারিত হব নাকি আয় করতে পারব?
আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ। কিন্তু কিভাবে ইনকাম করবেন? ভয় পাবার কিছু নেই। অনলাইনে ইনকাম ২০২১: ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়! এই আর্টিকেল এর এই পর্যায়ে আমি আলোচনা করবো কিভাবে মোবাইল ফোন ইউজ করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকামের হাজারে সিস্টেম আছে । আমি সবগুলা নিয়ে আলোচনা করবো না , যেগুলা মাধ্যম ইউজ করে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে অল্প সময় দিয়েই অনেক ভালো পরিমান টাকা বিশ্বস্ততার সাথে আয় করতে পারবেন এখন শুধু সেগুলা মাধ্যম নিয়েই আপনাদের সাথে কথা বলবো ইনশাআল্লাহ । আপনি যদি ধৈর্য্যসহকারে আমার দেখানো পথে কাজ করেন তাহলে মোবাইল দিয়ে ১০০% ইনকাম হবেই ইনশাআল্লাহ ।
এখন আপনাকে খুব সুক্ষভাবে বিবেচনা করতে হবে যে এত এত অফারের মধ্যে কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক, কোনটি আসলে শিখিয়ে যাচ্ছে আর কোনটি প্রতারক চক্র, আপনি যদি কখনো প্রতারক চক্রের মধ্যে পড়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনার কিছু সময়, অর্থ এবং আপনার পরিশ্রম বৃথা যাবে ।
তো যা হোক আপনার টেনশনের কিছু নেই আমি এখন আপনাকে সুন্দরভাবে বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবো ২০২১ সালে কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
ইউটিউব থেকে আয় ২০২১ঃ
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও সহজ পথ হচ্ছে ইউটিউব । ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে YouTube হচ্ছে একটি। প্রতিদিন বিলিয়িন বিলিয়ন মানুষ এই ইউটিউব ব্যাবহার করছেন । আপনার যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে তবে আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে মাসে ভালো মানের টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
এখান থেকে যে কোন বয়সের লোক খুবই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে যেটি করতে হবে- প্রথমে বিভিন্ন ভাল মানের ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে হবে। এবং যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় হবে । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আপনার ভিডিও গুলা ভিউ করবে। তখন আপনি ইউটিউবের শর্ত মেনে আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করে নেবেন। আর মনিটাইজেশন যখন চালু হবে তখন আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের এড শো করবে, কেউ যদি আপনার ভিডিওতে দেখানো এডে ক্লিক করে তবে আপনি টাকা পাবেন। আমি পিরিচিত অনেকেই দেখেছি যারা শুধু ইউটিউবে কাজ করেই মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতেছে। অনলাইনে ইনকাম ২০২১
ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
এতক্ষন তো জানলেন ইউটিউব থেকে ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় । খুব আগ্রহ জেগেছে ইউটিউবে কাজ করে ইনকাম করার তাই না ? এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে আয় তো করা যায় বুঝলাম কিন্তু কিভাবে আয় করা যায় সেটা তো জানিনা।
কোন চিন্তা নেই আমি তো আছি । আমি আপনাকে বলে দেব আপনি কিভাবে ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করবেন ।
প্রথমে আপনি ভেবে দেখুন তো আপনি কি বিষয়ে একটু ভালো বুঝেন। একটু ভাবলেই দেখবেন আপনি আপনার বিষয় পেয়ে গেছেন । কারন প্রতিটি মানুষেরই কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা আছেই । যেমন ধরুন কেউ খেলাধুলা খুব ভালো পারে খেলা ধুলা সমন্ধে তার ভালো জ্ঞান আছে । এখন সে কিন্তু খেলাধুলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিতে পারে ।
আপনি যদি ভ্রমন প্রিয় লোক হন তাহলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্যগুলো আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করেও এ কাজটি করতে পারেন। অথবা আপনি যে বিষয় ভালভাবে জানেন সে বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও টেউটরিয়াল তৈরী করেও কাজটি করতে পারেন। সেসব মেয়েরা ভালো রান্না পারেন তারা চাইলে বিভিন্ন রান্নার রেসিপি টিপস ও সাজগোজের করার ভিডিও তৈরি করে নিতে পারেন।
আমার পরিচিত এক ছোট ভাই আছে ও যেকোন ধরনের ফোনের ফাংশন খুব ভালো বোঝে । এছাড়াও ও টেকনোলজি রিলেটেড বিভিন্ন বিষয়ে মোটামুটি অভিজ্ঞ তো আমি একদিন ওকে পরার্মশ দিয়েছিলাম ”তুমি ইউটিউবে তোমার দক্ষতা শেয়ার করে ইনকাম করো “ আলহামদুলিল্লাহ ও এখন অল্প সময়ের ব্যাবধানে মোটামুটি ভালো একটি এমাউন্ট ইনকাম করতেছে ঘরে বসেই ।
এখন কম দামেই অনেক ভালো রের্কডিং সিস্টেমের মোবাইল পাওয়া যায় যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার কন্ঠ ইউজ করে ক্যামেরার সামনে না গিয়েও বিভিন্নি টিউটরিয়াল বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দিতে পারেন । কিন্তু মনে রাখবেন কারও কোন নকল ভিডিও কপি করে এটি করা যাবে না। এতে করে হিতের বিপরীত হতে পারে। কারন জানেনই তো অবৈধ্য উপায়ে কিছু হাসিল করতে চাইলে আপনি বিপদে পরবেনই । আর পরকালে তো আল্লাহর আজাব আছেই । তা যাই করেন চেষ্টা করবেন হালালভাবে কিছু করার ।
ইউটিউব থেকে আয় করতে চাইলে যেসব বিষয় অবশ্যই জরুরীঃ
- আপনার একটি এনড্রয়েড ফোন বা কম্পিউটার থাকতে হবে ।
- ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।
- একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে ।
- ইউটিউব চ্যানেলটি তে মনিটাইজেশন চালু করতে হবে ।
- আপনি যে বিষয়ে ভিডিও বানাবেন সে বিষয়ে খুব স্বচ্ছ ভিডিও ক্যাপচার করতে হবে।
- ক্যামেরা দিয়ে ক্যাপচার করা ভিডিওগুলা প্রফেশনাল মানের ইডিটিং করতে হবে।
- ইডিটিং করা ভিডিওগুলা নিজের চ্যানেলে আপলোড দিতে
- আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়াতে হবে।
ব্লগিং করে ইনকাম ২০২১ঃ
আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যাবহার করে ব্লগিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন । তবে এজন্য আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে ধৈর্য্য ধরতে হবে। একটু কষ্ট করলেই আপনিও অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন ব্লগিং করে ।
কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়?
ব্লগিং করে আয় করতে হলে আপনার একটি ব্লগ সাইট থাকতে হবে। এই ব্লগ সাইট আপনি ফ্রি ও পেইড দুইভাবেই করতে পারেন।
ফ্রিতে ব্লাগ তৈরীর করার জন্য অনেক সাইট আছে তারমধ্যে জনিপ্রয় কিছু সাইট হল, সাইট ডট গুগল ডটকম ব্লগার ডট কম ওয়ার্ডপ্রেস ডটকম আপনি চাইলে ১০ মিনিটেই অনেক ভালোমানের ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরী করতে পারবেন ।
আবার আপনি যদি চান ১৫শ টাকা খরচ করে আমার পছন্দমত নামে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগিং শুরু করবো তাও করতে পারেন।
কিন্তু শুধু ব্লগ সাইট তৈরী করলেই হবে না। তাতে নিয়মিত কাজ করতে করতে হবে । নিয়মিত কনটেন্ট লিখতে হবে। আপনার যে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে, আপনি সে বিষয় নিয়ে লিখে যাবেন। এ ক্ষেত্রে হয়তো আপনি প্রথম ২-৩ মাস একটু কষ্ট করতে হবে। তাই বলে আপনি নিরাশ হয়ে থেমে থাকবেন না। আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে থাকেন। একসময় দেখবেন আপনার সাইটে প্রচুর ভিজিটর আসতেছে। আর যখনি দেখবেন আপনার সাইটে ভিজিটর আসতেছে তখনি আপনার কামের কাম ।
আপনি আপনার সাইটে এডসেন্স আবেদন করবেন। এডসেন্স অনুমোদন পেলে আপনার সাইটে এড শো করবে আর ইউটিউবের এডের মত আপনার সাইটের এডে যদি কেউ ক্লিক করে তবে আপনি টাকা পাবেন।
ব্লগিংএ সফলতা পেতে চাইলে যা অবশ্যই জরুরীঃ
- আপনার একটি মোবাইল বা কম্পিউটার থাকতে হবে ।
- ইন্টারনেরট কানেকশন থাকতে হবে।
- ফ্রি বা পেইড যেকোন ধরনের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।
- ব্লগে নিয়মিত ইউনিক কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে।
- ব্লগে এডসেন্স চালু থাকতে হবে।
- আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
আপনার এডসেন্সে যখন ১০০ ডলার জমা হবে তখন আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে আপনার টাকা উঠাতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় ২০২১ঃ
বর্তমানে ফ্রিলান্সিং সেক্টরে এই আর্টিকেল রইটারের জনপ্রিয়তা অনেক । এখন ভালো আর্টিকেল রাইটার পাওয়াই মুশকিল । বিশেষ করে বাংলাদেশে আর্টিকেল রাইটার তেমন পাওয়ায় যায় না । এই সেক্টরে দক্ষ লোকের খুবই অভাব।
কিন্তু আপনি যদি চেষ্টা করেন আপনি মোবাইল দিয়েই ঘরে বসে আর্টিকেল রাইটিং করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রফেশনাল মানের রাইটার যদি আপনি হন অপনি অবশ্যই কাজ পাবেন । যদি দক্ষতা থাকা সত্তেও কাজ না পান তবে আমাকে বইলেন আমি অপনাকে ইনকামের ব্যাবস্থা করে দেব ইনশাআল্লাহ ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ইনকাম ২০২১ঃ
আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন । আমার কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং টা খুব ভালো লাগে । এই কাজে এক্সটা একটা মজা পাই আমি ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? –
অনলাইনে অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে আয় করা কে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। কি কথা বোঝেন নি ? ওয়েট আমি একটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি।
ধরুন আমার একটি থ্রি পিসের বিসনেস আছে , এখন আমি আপনাকে বললাম আপনি যদি আমার থ্রি পিস বিক্রি করে দেন । তবে আমি আপনাকে প্রতিটি থ্রি পিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট পার্সেন্ট আপনাকে দেব। সেটা হতে পারে ৫% থেকে ৫০% পর্যন্ত । যদি একটি থ্রি পিসের দাম ৫০০ টাকা হয় তাহলে প্রতি থ্রি পিস বিক্রিতে ১০% হিসেবে আপনি পাবেন ৫০ টাকা। এভাবে আপনি যত বেশী বিক্রি করতে পারবেন ততো বেশী ইনকাম করতে পারবেন । আপনি যদি অনলাইনে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান এবং যদি পরিশ্রমী আর ধৈর্য্যশীল মানুষ হন, তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর আপনার শেয়ার করা লিংক থেকে যদি কেই আমার থ্রি পিস কিনে তবেই আপনার লাভ আপনি পেয়ে যাবেন আপনার নির্দিষ্ট কমিশন । এভাবে যত বেশী মানুষ আপনার লিংক থেকে প্রডাক্ট কিনবে ততো বেশী কমিশন আপনি পাবেন । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
কিছু জনপ্রিয় এফিলিয়েট প্লাটর্ফম ২০২১ঃ
- Amazon Associates. (সবচাইতে বেশী পরিচিত)
- eBay Partners.
- Shopify Affiliate Program.
- Click-bank.
- Awin
- ShareAsale
- CJ Affiliate
- Rakuten Affiliate Network
- AvanGate ( 2Checkout )
- LinkConnector
- RevenueWire
পিটিসি করে ইনকাম ২০২১ঃ
আপনি ঘরে বসে পিটিসি করে ইনকাম করতে পারেন।
পিটিসি কি? পিটিসি হল এমন ধরেন ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন এড দেখলে টাকা দেয় । পিটিসি এর পূর্ণ রুপ পেইড টু ক্লিক পিটিসি সাইটে বিজ্ঞাপনদাতারা বিভিন্ন প্রডাক্টের প্রোমোশন বা ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আর আপনি নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখে পিটিসি সাইট থেকে আয় করতে পারেন।প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুত্বের রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।
জনপ্রিয় কিছু পিটিসি সাইট ২০২১ঃ
- NeoBux – নিউবাক্স
- ClixSense – ক্লিকসেন্স
- FamilyClix – ফ্যামিলি ক্লিক
- Scarlet Click – স্কারলেট-ক্লিক
- GPTPlanet -জিপিটি প্ল্যানেট
- ojooo – ওজো
- clixblue – ক্লিকব্লু
- ayuwage
- innocurrent
- paiddataentry
মজার ব্যাপার হলো আপনি এই সকল সাইটে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারবেন ।
এনড্রোয়েড এপস থেকে ইনকাম ২০২১ঃ
অপনি হয়তো আপনার বন্ধু বান্ধব বা প্রতিবেশী বা যেকোন মাধ্যম থেকে শুনেছে যে Android Apps ইনকাম করা যায়। হ্যা ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন। গুগল প্লে স্টোরে এমন অনেক এপস আছে যেগুলা ডাউনলোড করে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন । তবে শুধু ডাউনলোড করলেই হবে না । এপস ডাউনলোড করার পর অনেক রকম কাজ করতে হয় । যেমন , এপ ডাউনলোডিং, এপস রেফার করা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি । এই কাজ গুলি করার বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা পাবেন ।
জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম এপস ২০২১ঃ
- Meesho
- Google’s Opinion Rewards
- Picxele
- Make Money – Free Cash App
- frapp
- Foap – sell your photos
- Perk app
- Cointiply
- Swagbucks
- True balance
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম ২০২১ঃ
আপনার যদি ছবি তোলার শখ থাকে বা আপনি যদি ফটোগ্রাফার হন তো আপনি ঘরে বসেই আপনার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন । আপনি আশে-পাশের প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিস, খাবার, সহ যে কোন কিছুর ভাল ছবি তুলে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
অনেই আছে যারা শুধু ছবি তুলে সেটা বিক্রি করে মাসে ৩০০ / ৪০০ ডলার বা তার বেশী ইনকাম করে ঘরে বসেই ।
Sell Photos Online ২০২১ সাইট-
- 500px.com
- shutterstock.com
- envato.com
- stock.adobe.com
- imagesbazaar.com
- ফোটোলিয়া
- ফটোবিককেটের ইত্যাদি
ই-কমার্স সাইট থেকে আয় ২০২১ঃ
আপনি চাইলে একটি ই-কর্মাস সাইট বানিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন । এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে ই-কার্মাস সাইট টা আবার কি ? আর এ সাইট থেকে ইনকামই বা কিভাবে করা যাবে?
ই-কর্মাস সাইট মানে হলো একটি অনলাইন দোকান।আপনার বাসার পাশের মুদি দোকানে যেমন বিভিন্ন আইটেম সাজানো গোছানো থাকে লোকজন দোকনে আসে এবং মালামাল কিনে । ঠিক তেমনি অনলাইনে এরকম দোকান কে বলে ই-কর্মাস সাইট ।
ই-কর্মাস সাইট থেকে কিভাবে আয় করবো ?
ই-কর্মাস শুরু করতে হলে আপনার একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন যেখানে আপনি আপনার পন্যগুলি মুদি দোকানের মত সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন । ক্রেতা বা ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে পন্য দেখবে এবং অর্ডার করবে।
প্রথম অবস্থায় আপনি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যেমে একটি ই-কার্মাস বিসনেস শুরু করতে পারেন। এবং সেটা আপনি মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন।
আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিসনেস করতে চান সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড একটি নাম দিয়ে ফেসবুক পেজ খুলবেন । এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্টোর ছবি দাম সহ বিস্তারিত লিখে রাখবেন।ফেসবুক পেজে আপনার প্রোডাক্টের বিস্তারিত পোষ্ট হলে আপনি আপনার পেজেটিতে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করবেন । এভাবে পেজে ভিজিটর বাড়লে আপনার বিক্রিও বাড়বে । ঠিক অফলাইনে যেমন নতুন কোন দোকান উদ্ভোদন হলে কত ধরনের পোস্টারিং, লিফলেট, মাইকিং সহ কত রকমের প্রচারনা হয় শুধু মাত্র দোকানের কাস্টমার বাড়ানোর জন্য দোকান চেনানের জন্য। ঠিক অনলাইনেও যখন আপনি একটি ই-কর্মাস সাইট বানাবেন , আপনাকে আপনার সাইট প্রচার করতে হবে ভিজিটরদের কাছে আর যখন আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে তখন আপনার বিক্রি হবে ইনকাম হবে।
ই-কমার্স সাইট থেকে সফলতা পেতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে। আপনার আসে পাশের সেই সব পন্য গুলো নিয়ে কাজ করুন যে গুলো এখনো অনলাইনে সচরচর পাওয়া যায় না। মানুষের হাতের কাছে ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যেে। এতে করে বিশ্বাস করুন আপনি যত টা কঠিন ভাবছেন এটা করা তার থেকে অনেক সহজ শুধু আপনাকে শুরু করতে হবে এবং ধর্য্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সার্ভে করে ইনকাম ২০২১ঃ
আপনি ঘরে বসে অনলাইন জরিপ বা সার্ভে করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই সার্ভে কি? সেটা বুঝতেছেন না । সার্ভে হলো মতামত নেয়া। বাংলাতে বলা হয় জরিপ। সার্ভে করার জন্য আপনাকে উক্ত পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে।। আর, এই সার্ভেতে যারা অংশগ্রহণ করে তাদের টাকা প্রদান করা হয়।সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে। আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য $১ থেকে $২০ ইনকাম করতে পারেন।
জনপ্রিয় কিছু সার্ভে সাইট ২০২১ঃ
- SwagBucks
- OnePoll
- Branded Surveys
- Toluna
- InboxPounds
ফেসবুক থেকে আয় ২০২১ঃ
ফেসবুক তো আমরা সবাই চালাই তাই না ? কত সময় নষ্ট করি ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করে ভিডিও দেখে অযথা নিউজফিট স্ক্রল করে। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই একটু কষ্ট করি তাহলে কিন্তু এই ফেসুবক থেকেই ভালোপরিমান টাকা ইনকাম করা যাবে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন অলোচনা করি কিভাবে ফেসবুক থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয়ঃ
ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে বা লাইভ করে টাকা ইনকাম করা যায় । ফেসবুকের এডব্রেকস সুবিধার মাধমে আপনি আপনার ভিডিও থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবনে। আপনার অপলোড করা ভিডিওতে ফেসবুক বিভিন্ন কম্পানির এড বসাবে আর সেই এডে যদি কেউ ক্লিক করে তবে আপনি সেই অ্যাড থেকে আয়ের কিছু অংশ পাবেন। তবে এডব্রেকস সুবিধা পেতে আপনাকে কিছু শর্ত পুরুন করতে হবে।
যেমনঃ
১। হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে।
২। শেষ ৬০ দিনে ১,৮০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে এবং ৩০,০০০ মিনিট ভিউ হতে হবে ৩ মিনিটের বেশী ভিডিওতে।
৩। শেষ ৬০ দিনে ১৫,০০০ হাজার মানুষের নিকট আপনার পোস্ট পৌছাতে হবে।ৎ
লাইভ করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে সে শর্ত সেটা হলোঃ
১। ভিডিও চার মিনিটের হতে হবে।
৪। ৩০০ জন মানুষ দেখতে হবে ।
এই শর্তগুলি পুরন হলেই আপনি এডব্রেকস সুবিধার জন্য আবেনদ করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এফিলিযেট মার্কেটিং সমন্ধে আমরা আগেই জেনেছি । নতুন করে বোঝানোর কিছু নেই আপনি অন্যের পন্য আপনার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে প্রচার করবেন । আপনার প্রচারের মাধ্যমে যদি কেউ পন্য কেনে তবে সেই পন্যের লাভ্যাংশ থেকে আপনি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন।
শর্ট লিংক শেয়ার করে আয়
আপনি ফেসবুকে ভিবিন্ন ওয়েব সাইটের শর্ট লিংক শেয়ার করে ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন আপনি একটি ডাউনলোড লিংক শেয়ার করতে চাচ্ছেন এখন আপনি ঐ লিংকটা শর্ট লিংক করার ওয়েব সাইটের মাধ্যমে শর্ট করে আপনি আপানার ফেসবুকে আইডিতে প্রচার করলেন । এতে করে আপনার লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ ডাউনলোড করে তবে আপনি নির্দিষ্ট কিছু এমাউন্ট পাবেন ।
জনপ্রিয় শর্ট লিংক সাইট ২০২১ঃ
ফেসবুক পেজ বিক্রি করে আয়ঃ
আপনার কাছে যদি বেশী লাইক বা ফলোয়ার যুক্ত ফেসবুক পেজ থাকে আপনি সেটা বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন । অনেকেই আছে তারা শুধু পেজ তৈরী করে সেই পেজ জনপ্রিয় করে আর বিক্রি করে এভাবে টাকা ইনকাম করে।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়ঃ
আপনার মালিকানায় যদি বড় কোন গ্রুপ থাকে তবে আপনি খুব সহজেই সেই গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমার পরিচিত এক বড়ভাই আছে সে প্রতি মাসে ফেসবুক গ্রুপ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করে ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আয় ২০২১:
আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেও ঘরে বসে অনলাইন থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার করা ডিজাইন গুলা রেখে দিবেন সেখান থেকে আপনার ডিজাইনগুলা বিক্রি হতে থাকবে আর আপনি ঘরে বসে শুধু টাকা গুনবেন! কি ব্যাপারটা মজার না?
ব্যাপারটা মজার হলেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ঘরে বসে টাকা গোনা পর্যন্ত অনেক কিছুই করতে হবে। আপনার ভালো মানের একটা কম্পিউটার /ল্যাপটপ লাগবে ধৈর্য্য ও কঠর পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনি টাকা গুনতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ আপনি প্রাথমিক অবস্থায় এডোবি ফটোশপ এবং ইলিস্ট্রটর দিয়ে শুরু করতে পারেন
গ্রাফিক্স ডিজাইনে সাধারনত যেসব কাজ করা হয়ঃ
১। লগো ডিজাইন
২। ব্যানার ডিজাইন
৩। পোষ্টার ডিজাইন।
৪। কভার ডিজাইন
৫। ফটো ইডিটিং
সহ সকল প্রকার ডিজাইনা
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যেসব সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেনঃ
- ফাইবার – Fiver.com
- আপওয়ার্ক – Upwork.com
- ফ্রিলান্সার – Freelancer.com
- টপটাল – Toptal.com
- নাইন্টিনাইন ডিজাইন – 99designe.com
- গুরু – Guru.com
- পিপুল পারওয়ার – Peopleperhour.com
এরকম আরো অনেক সাইট আছে যেখান থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন।
যেসব সাইটে আপনি আপনার ডিজাইন রেখে বিক্রি করতে পারবেন
১। stocksnap.io
২। pexels.com
৩। landingstock.com
ওযেব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট শিখে আয় ২০২১ঃ
বর্তমানে যে হারে মানুষ অনলাইনের দিকে ঝুকছে, সবাই এখন অনলাইনমুখি, কেনা কাটা, ব্যাবসা বানিজ্য, শিক্ষা চিকিৎসা, খাদ্য বস্ত্র সব কিছুই এখন অনলাইন বেইস হয়ে যাচ্ছে, আর অনলাইন মানেই ওয়েব পেজ। ঠিক এই মুহুর্তে আমাদের যে লেখাগুলো পড়তেছেন এটাও একটা ওযেব পেজ। অর্থাৎ আপনি অনলাইনে যা কিছু দেখেন সবই ওয়েব পেজ। আর এরকম কতগুলি ওয়েব পেজ একত্র হয়েই হয় একটা ওয়েবসাইট।
এই যে আপনি এত সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের নানা রঙের ওয়েব পেজ প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছেন, এগুলা কি আপনা আপনিই তৈরী হয়েছে? নাকি এই পেজগুলা কেউ ডিজাইন করেছে?
অবশ্যই এই পেজগুলা কেউ না কেউ ডিজাইন করেছে। আর যিনি ডিজাইন করেছেন তিনি কি ফ্রি ফ্রিই একাজগুলা করেছে? মোটেও না।
বর্তমানে যেহেতু ব্যাপকহারে মানুষ অনলাইনের দিকে ঝুকছে আর অনলাইন মানেই যেহেতু ওয়েব পেজের সমষ্টি তাহলে আপনিই একটু বিশ্লেষণ করুন ওয়েব ডিজাইনার/ডেভেলপারদের চাহিদা কেমন। আর যার চাহিদা যত বেশী তার ডিমান্ডও ততো বেশী।
আপনার যদি কোডিং করার শখ থাকে ক্রিয়েটিভ কিছু করার ইচ্ছে থাকে আপনি যদি কঠর পরিশ্রমী হন, আপনি যদি অনলাইনে সম্মানের সাথে ঘরে বসে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে চান তবে আপনার জন্য ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট শিখা বেষ্ট। তবে এক্ষেত্রে আমি সাজেষ্ট করি আপনার হাতে যদি মিনিমাম ২ বছর শেখার সময় থাকে তবেই আপনি ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য পা বাড়ান, ২/৪/৬ বা ১ বছর সময় নিয়ে এই সেক্টরে ভালো কিছু শিখতে পারবেন না। তবে যারা এক্সট্রা ট্যালেন্ট তাদের কথা ভিন্ন।
ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন ইনকামের জন্য কেমন পিসি দরকার?
নতুন অনেকেই এই কমন প্রশ্নটি প্রায়ই করেন। নতুন হিসেবে এই প্রশ্ন করাটাও স্বাভাবিক।
আসলে ফ্রিলান্সিং বা অনলাইন ইনকামের জন্য আপনার বর্তমান যে পিসি আছে বা নতুন যদি আপনি কিনতে চান তেবে ১৫/২০ হাজার টাকা দামের কম্পিউটার দিয়েই আপনি শুরু করতে পারবেন। আপনি চাইলে বেশী দামের পিসিও কিনতে পারেন। আমাদের এলাকায় একটা প্রবাদ আছে “যত গুর ততো মিঠা” যত ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনবেন আপনি কাজ করে ততো মজা পাবেন।
তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা ভারি কোন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে চাইলে আপনাকে হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনতেই হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
Post a Comment